নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত সব আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বেলা ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) এর আয়োজন করে। সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেয় রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী জেলা শাখা। সাংবাদিকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বৃহত্তর সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খানও বক্তব্য দেন। সমাবেশে বক্তারা দ্রুত সব আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। ঘটনার ২০ দিন পরও আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় তাঁরা পুলিশের সমালোচনা করেন।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন আরইউজে সভাপতি রফিকুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হকের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব রাশেদ রিপন, নির্বাহী সদস্য শরীফ সুমন, রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান শ্যামল, রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আজিজুল হক, জিয়াউল গণি সেলিম, সৌরভ হাবিব প্রমুখ।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর সরাসরি সম্প্রচার (লাইভ) চলাকালে বিএমডিএ কার্যালয়ের সামনে হামলার শিকার হন এটিএন নিউজের রাজশাহী প্রতিনিধি বুলবুল হাবিব ও ক্যামেরাপার্সন রুবেল ইসলাম। সরকার নির্ধারিত নতুন অফিস সময়ে কর্মকর্তারা আসছেন না, এমন দৃশ্য দেখানোর কারণে বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশিদের নির্দেশে কর্মচারীরা এ হামলা চালান। এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রতিবাদের মুখে বিএমডিএ’র ভাণ্ডার রক্ষক মো. জীবন ও গাড়িচালক আবদুস সবুরকে সেদিনই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ঘটনার পর সেদিন রাতেই ভুক্তভোগী সাংবাদিক বুলবুল হাবিব সাতজনের নাম উল্লেখসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কিন্তু আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন সাংবাদিকরা। এরমধ্যেই আসামিরা ঢাকায় গিয়ে উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ তাদের জামিন আবেদন গ্রহণই করেননি। অবশেষে ১৯ সেপ্টেম্বর পুলিশ মো. জীবন ও আবদুস সবুরকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা এখন কারাগারে। তবে অন্য আসামিরা এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
এসবি/আরআর/এআইআর