সাহেব-বাজার ডেস্ক: রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট- আইইডিসিআর জানিয়েছে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাসে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছে, যা গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত ৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আজ রবিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন সংবাদমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, আমরা নিপা ভাইরাসের সতকর্তার ওপর জোর দিয়েছি। তাই কোথাও কেউ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সেটার খবর আমরা সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে ১০ জন শনাক্ত হয়েছে, এর মধ্যে সাতজন মারা গেছেন।
তিনি বলেন, নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কেউ যদি বেঁচেও থাকে তাহলে তার নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে আমরা যদি শুধু খেজুরের রস খাওয়াটা বন্ধ করে দিতে পারি তাহলে আর কোনো সমস্যা হবে না।
সতর্কতা অবলম্বন করে রস খাওয়া যাবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেকেই বলে থাকেন আমরা সাবধানতা অবলম্বন করে রস সংগ্রহ করছি। এটা আসলে ভুল। আপনি যতই জাল দিয়ে ঢেকে রাখেন, এতে আক্রান্তের সম্ভাবনা থেকে যায়। কারণ শুধু রসে বাদুড় মুখ দিলেই নিপা ভাইরাস হয় না, বাদুড়ের ইউরিন (প্রস্রাব) থেকেও নিপা ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে।
গতকাল শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের কোনো চিকিৎসা নেই। নিপা একটি মারাত্মক ভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার ৭৫ শতাংশ। নিপাহ ভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন নেই, কোনো ওষুধ নেই। সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, বাদুর খেজুর রস খায়, বিভিন্ন কাঁচা-পাকা ফলের ওপর বসে। মানুষ সেসব খেজুর রস ও ফল খেয়ে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।
এসবি/এআইআর